স্বদেশ ডেস্ক:
বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন আদালত। ১৪ আসামিদের মধ্যে ৬ জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড, ৪ জনকে ৫ বছর এবং ১ জনকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে ৩ আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন বিচারক মো. হাফিজুর রহমান।
এর আগে দুপুর ১টা ১০ মিনিটে জেলা শিশু আদালতে রিফাত শরীফ হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির রায় পড়া শুরু করেন বিচারক মো. হাফিজুর রহমান। তার আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কড়া প্রহরায় জামিনে থাকা আটজন অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামিসহ সবাইকে আদালতে আনা হয়।
অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুদের মধ্যে বরগুনা জেলা কারাগারে থাকা ছয় শিশু হলো- রাশেদুল হাসান রিশান ফরাজী, রাকিবুল হাসান রিফাত হাওলাদার, আবু আবদুল্লাহ রায়হান, ওয়ালিউল্লাহ ওলি, নাঈম ও তানভীর।
মামলায় জামিনে থাকা আট শিশু- চন্দন সরকার, নামুল হাসান, রাকিবুল হাসান নিয়ামত, প্রিন্স মোল্লা, মারুফ মল্লিক, মারুফ বিল্লাহ, রাতুল সিকদার, এবং আরিয়ান হোসেন শ্রাবণ।
রিফাত হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির মধ্যে গ্রেপ্তার হওয়ার পর হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ৭ আসামি।
আদালতে মামলার রায় শুনতে হাজির হয়েছেন রিফাতের পরিবারের সদস্য, মামলার আইনজীবী, গণমাধ্যমকর্মী ও আসামিদের স্বজনরা। এ উপলক্ষে আদালত চত্বরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। আদালত চত্বরে ভিড় দেখা গেছে উৎসুক মানুষেরও।
গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় রিফাতের স্ত্রী মিন্নিসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দুই ভাগে বিভক্ত অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে পুলিশ। এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর নিহত রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ছয় প্রাপ্তবয়স্ক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান।
উল্লেখ্য, রিফাত শরীফকে গত বছরের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে পুলিশের ক্রসফায়ারে নিহত নয়ন বন্ড ও তার সহযোগী সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে রিফাত শরীফকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা হাসপাতালে পাঠায়। পরে ওই হাসপাতালে রিফাতের মৃত্যু হয়।